পৃথিবীতে এমন কিছু মানুষ আছেন যারা জন্ম গ্রহণ করেন রাগ নিয়ে। এরা সহজ কথা সহজভাবে বলেন না। সব কিছু বাঁকা দেখেন। মনে হয় ঋত্বিক ঘটক সেই জাতের মানুষ ছিলেন। তিনি কোন বাধাকেই বাধা বলে মানতেন না। কাউকেই তোয়াক্কা করতেন না। আপোষ বলে কোন বস্তু তার জীবনে ছিল না এবং জীবনে কখনো করেনও নি। তার ছবির মূল বিষয় ছিল 'বাস্তব'। বাস্তব দেখাতে গিয়ে আপোষ করেন নি। তিনি ভয়াবহভাবে মানুষের সামনে অভাব, অনটন, রাজনৈতিক ঘটনা, দুর্ঘটনা দেখিয়েছেন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর জীবন থেকে। দেশভাগ তার জীবনের এক যন্ত্রণাময় ঘটনা, যা তার ছবিতে সব সময় দেখি। দেশভাগ-এর করালছায়া তার ছবির মধ্যে আমরা সব সময়ে দেখতে পাই। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বাম রাজনীতিতে বিশ্বাস করতেন কিন্তু কোন অজানা কারণে তার ছবিতে 'বিষয় রাজনীতি' নেই। তিনি কেবল বারে বারে তার ছবিতে কঠোর বাস্তব তুলে ধরে বলতে চেয়েছেন এইভাবে বাঁচার কোন মানে নেই। তার মনের গভীরে ভীষণ এক ক্ষোভ ছিল কারণ তিনি জন্মেই দেখেছিলেন এক ক্ষুদ্ধ স্বদেশকে।
সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে তিনি দূরে সরে থাকতে পারেননি। তাই সাহিত্য, নাটক, ছবি করে জীবন থেকে সমাজটাকে কিছু দিয়ে যেতে চেয়েছিলেন, সামাজিক দায়িত্ব কিছুটা পালন করতে চেয়েছিলেন।
৮০ বছরে পৌঁছেও ঋত্বিক মানুষের অন্তরে বিরাজ করছেন স্বমহিমায়। এই রাগী মানুষটিকে কি সহজে ভোলা যায়? সেই জন্যেই হয়তো আপোষহীন মানুষ ঋত্বিক আপোষ না করেই অভিমান করে চলে গেলেন ১৯৭৬ সালে।
স্রষ্টারা তাদের কাজের মৌলিকতা, জীবন দর্শন দিয়ে সমাজের মৌলিক পরিবর্তনের
চেষ্টা করেছেন। আমাদের চেষ্টা তা প্রকাশ করে কিছুটা সামাজিক দায়িত্ব পালন করা। ।
সকল প্রবন্ধকারদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা স্বীকার ও শ্রদ্ধার্ঘ্য রইল।
চলচ্চিত্র চর্চা : ঋত্বিক কথকতা
সম্পাদক : বিভাস মুখোপাধ্যায়
প্রকাশনা : দে বুক স্টোর
ধারা : প্রবন্ধ
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ২৫৬
বাধাই : পেপারব্যাক
top of page
₹380.00 Regular Price
₹330.00Sale Price
Related Products
bottom of page