ত্রিদিব সেনগুপ্তের চারটি উপন্যাস সংকলনের প্রথমটি, তপন বিশ্বাসের খিদের বত্রিশ ঘন্টা, ৯-এর দশকের গোড়ায় লেখা। এ কাহিনির তপন, যার পদবী বিশ্বাস, সে, এক মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত, নিম্ন নিম্ন মধ্যবিত্ত, তস্য নিম্ন মধ্যবিত্ত সংসারের সন্তান। এমন সংসার ও তার প্রতিবেশ ৮-এর দশকের মাঝামাঝি, ৯-এর দশকের মাঝামাঝিও, কলকাতার শহরতলিতে পরিদৃশ্যমান ছিল, কলকাতাতেও। এ উপন্যাসের যে সময়পরিসর, সেখানে পাড়ার নাম হয় স্ট্যালিনগড়, তখন কেবলমাত্র ট্যুইশন নির্ভর সময়জীবন কাটাতে কাটাতে একটা যে কোনও চাকরির স্বপ্ন দেখতে দেখতে পোস্টাল অর্ডার ক্রয় পরিকল্পনা, স্বমেহনের সময়কালে কল্পনার সুবিধার জন্য বিদেশি কন্ডোমের খালি প্যাকেট জোগাড়, একসাথে লেগে থাকে। মাত্র বছর তিরিশ আগের এ বাস্তবতা ও তদনুষঙ্গ অস্বস্তিকর।
অস্বস্তিকর শব্দটা, বিক্ষিপ্ত প্রয়োগ নয়। ত্রিদিব সেনগুপ্তের প্রায় সব লেখাই কোনও না কোনও কারণে অস্বস্তিকর। মাথার মধ্যে, সেখান থেকে শরীরের অন্যত্র, সংবেদনশীল স্থানসমূহে, চাপ তৈরি করবে। তার পরিমাণ এতটাই, যে, পুরো উপন্যাস শেষ করে ফেলা আয়াসসাধ্য মনে হবে। তার একটা বড় কারণ, লেখার প্রকরণও বটে। সমাপিকা ও অসমাপিকা ক্রিয়ার অভ্যস্ত স্থানে বদল ঘটিয়ে, যতিচিহ্নের অচলিত ব্যবহারে, ত্রিদিব সেনগুপ্তের লেখারা, বাস্তবতার, ঔপন্যাসিক বাস্তবতার একটা রকমফের ঘটিয়ে দিতে পারে। অতটা রকমফের ঠিক জনসহনীয় নয়, সর্বজনগ্রাহ্য তো নয়ই।
চারটি উপন্যাস
লেখক : ত্রিদিব সেনগুপ্ত
প্রকাশনা : কেতাব-ই
ধারা : উপন্যাস
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৪৮৩
বাধাই : হার্ডকভার
top of page
₹680.00 Regular Price
₹580.00Sale Price
Related Products
bottom of page