আজকাল অফিসের সময়টুকু বাদ দিয়ে প্রায় সারাক্ষণ ল্যাবেই থাকেন ঝটিকা কুণ্ডু । তৈরি হচ্ছেন নতুন চমক দেখানোর জন্য। তিনি পেশায় ইঞ্জিনিয়ার কিন্তু আদতে বিজ্ঞানী। বিজ্ঞান নিয়ে সবসময় চলছে তাঁর সাধনা ।
পৌষ মেলার সময় প্রতি বছর সাইন্স একজিবিশন হয় দুর্গাপুরে। সে এক হইহই কাণ্ড। ঝটিকার বিভিন্ন আবিষ্কারের কথা এদিক-ওদিক ভালোই ছড়িয়েছে এতদিনে। কাজেই, কয়েক বছর ধরে ডাক পাচ্ছেন তিনিও।
বছর তিনেক আগে, এক কথা-বলা রোবট বানিয়ে রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন। ঐ রোবট নাকি মানুষের চোখ দেখে মনের কথা বলে দিতে পারে।
এক পুঁচকে ছেলে সামনে এসে দাঁড়াল, অমনি রোবট-পুতুল বলে উঠল— “তোমার এখন ড্রাগনের পিঠে চড়ার ইচ্ছে হচ্ছে।” কথা শুনে সেই ছেলে তো একেবারে ত থ দ ধ। এরপর, একটি মেয়েকে হাজির করা হলো। পুতুল বলে উঠল—“তুমি কি এখন ফুচকা খাবে?” মেয়েটির মাথা ভোঁ-ভাঁ। তার বাবাও অবাক। সত্যি সত্যিই মেয়েটি, বাবার কাছে ফুচকা খাওয়ার বায়না করছিল তখন।
এরপর, মেয়েটির বাবাও এসে দাঁড়িয়ে পড়ল পুতুলের সামনে। কিন্তু পুতুল এইবার কিছু না বলে চুপ করে থাকল। ভদ্রলোক বললেন—“কই কিছু বলছে না তো !”
ঝটিকার ঝটাপট উত্তর—“বলবে না তো। আসলে আমার এই টকিং-ডল বড়োদের খুব একটা পছন্দ করে না। তাই বড়োদের কথা ও বলে না।”
একে রহস্য দুইয়ে লক্ষ্যভেদ
লেখক : রাজীব রায় গোস্বামী
প্রকাশনা : কেতাব-ই
ধারা : উপন্যাসিকা
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ১৯৬
বাধাই : হার্ডকভার
top of page
₹250.00 Regular Price
₹220.00Sale Price
Related Products
bottom of page