Ekti Ashleel O Anyanyo Galpo - Pratik
রেস্তোরাঁর লোকের হাতছানি পেয়ে আশিস কাউন্টারে যায় অর্ডারটা নিতে। তারপর বাইক নিয়ে বেরিয়ে যায়, যাওয়ার সময় আরেকবার বলে যায় “চলে আসিস। আড্ডা হবে।”
কয়েক মুহূর্ত পরে নীল লাথি মেরে খানিকটা ধুলো উড়িয়ে বলে “ধুর বাল।” তারপর হাসি পায়। আপন মনে বলে, শালা কাকে যে দিচ্ছি খিস্তিটা... কাকে দেয়া উচিত? আমাদের অ্যাপের কোম্পানিকে না নতুন কোম্পানিটাকে? নাকি ওই রেস্টুরেন্টটাই হারামি? হঠাৎ খুব কাঁদতে ইচ্ছে করে নীলের। বিয়ে করতে চাইছে না, প্রেম করতেও চাইছে না। শুধু বিকেলবেলা একটিবার চোখের দেখা । এই দুনিয়ায় সেটুকুও হওয়ার জো নেই? কী এমন পাপ করেছে জীবনে যে এইটুকু সুখ ভগবান দিলেন না? গলার মাদুলিটা ছুঁয়ে এই প্রশ্নটাই করতে ইচ্ছে করছিল। কিন্তু পিছন থেকে ডাক এল “এই যে দাদা, দুটো মাটন বিরিয়ানি আর একটা চিকেন চাঁব। আপনার মালটা নিয়ে যান।”
সেদিন পাঁচটা নাগাদ ব্রিজটার কাছাকাছিই ছিল নীল। একবার ভাবল একাই গিয়ে বসবে যথাস্থানে। অসুবিধা কী? ভালই তো। অন্যরা কেউ থাকবে না, মেয়েটার সঙ্গে নিশ্চিন্তে কথা বলা যাবে। ওকে বরং জানিয়ে দেবে যে এবার থেকে আর ওখানে দেখা হবে না, অন্যত্র ব্যবস্থা করতে হবে। এটাই তো একমাত্র উপায়। মেয়েটার নাম জানা নেই, ফোন নম্বরও নেওয়া হয়নি কাল। ওসব কথা মনেই হয়নি তখন। কিন্তু কোন ভরসায় ওখানে গিয়ে হাঁ করে বসে থাকবে? হয়ত উপকার করেছিল বলে ভদ্রতা করে মেয়েটা বলেছিল “কাল দেখা হবে”।
একটি অশ্লীল ও অন্যান্য গল্প
লেখক : প্রতীক
প্রকাশনা : কেতাব-e
ধারা : গল্প সংকলন
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ২১৩
বাধাই : হার্ডকভার