পুঁজিবাদের ইতিহাস দীর্ঘ। বাণিজ্যিক পুঁজিকে হিসেবের মধ্যে ধরলে তার সূত্রপাত পঞ্চদশ শতাব্দী থেকেই। তবে মার্কসবাদী তাত্ত্বিকদের মধ্যেই সময়কাল নিয়ে মতান্তর রয়েছে। সূত্রপাতের যে কালটি নিয়ে বিতর্ক বিশেষ নেই, তা হলো ইংল্যান্ডের শিল্পবিপ্লবের সময় থেকে যে পুঁজিবাদ শুরু হয়েছিল, তাই হলো প্রকৃত অর্থে পুজিবাদের প্রারম্ভকাল। কারণ এই সময় থেকেই উৎপাদন প্রক্রিয়ার ওপর পুঁজির নিয়ন্ত্রণ স্থাপিত হয়েছিল। চিরায়ত বা "ক্লাসিক্যাল" পুজিবাদের আমল থেকেই অ্যাডাম স্মিথ, রিকার্ডো-র হাত ধরে পুঁজিবাদের গভীর তাত্ত্বিক চর্চা শুরু হয়েছিল। তা হলেও পুঁজিবাদের ইতিহাসের তিন শতাব্দীর এই দীর্ঘ সময় জুড়ে পুঁজিবাদ প্রয়োগ ও তত্ত্ব-সমৃদ্ধ হয়েছে। আধুনিকতম উৎপাদন ব্যবস্থা হিসেবে সে আজও বিদ্যমান। সমাজতান্ত্রিক তত্ত্ব ও প্রয়োগ তাকে সজোরে আঘাত করলেও বাস্তব অর্থনীতির জমিতে সেই আঘাতকে পরাভূত করেই সে আজও স্বমহিমায় বর্তমান। অথচ আমরা জানি এবং ঠিকভাবেই জানি পুঁজিবাদ তার উৎপাদন ব্যবস্থার মধ্যেই নিজের ধ্বংসের বীজ বহন করে চলেছে। এ ব্যবস্থা যতই ক্ষমতাধর হোক ও নতুন নতুন উপায় উদ্ভাবনে যতই দক্ষ হোক, তা মুনাফার ক্রমহ্রাসমান হারের প্রবণতা থেকে এবং তজ্জনিত সঞ্চয়নের সমস্যা থেকে স্থায়ীমুক্তির পথ জানে না। এতো সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও পুজিবাদ কেন ও কীভাবে আজও টিকে আছে, বিশেষত একবিংশ শতাব্দীতেও মানবসভ্যতার পক্ষে কী ভীষণ মূল্যের বিনিময়ে সে গোটা বিশ্বে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, তা জানা অত্যন্ত জরুরি। আজ যাঁরা ভারতের সমাজব্যবস্থার পরিবর্তন চান, তাঁদের সামনে পুঁজিবাদই প্রধান শত্রু হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। পুঁজিবাদের সর্বোচ্চ স্তর সাম্রাজ্যবাদও এর অন্তর্ভুক্ত। শত্রুর শক্তি ও সীমাবদ্ধতা কী তা না জানলে তাকে পরাস্ত করা কী করে সম্ভব? বর্তমান পুস্তকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে লেখকরা তারই বিচার-বিশ্লেষণ করে পাঠকের ভাবনার দুয়ার খুলে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এই গ্রন্থে প্রবন্ধ গুলিতে পুঁজিবাদের আধুনিকতম বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত বিকাশকে বর্ণনা ও ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আশা করা যায় গ্রন্থটি দ্রুত পাঠক মহলে বিস্তার লাভ করবে।
২১ শতকে পুঁজি
সম্পাদক : পুলক গোস্বামী
প্রকাশনা : প্ল্যাটফর্ম
ধারা : প্রবন্ধ
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ২৫৬
বাধাই : হার্ডকভার
top of page
₹200.00 Regular Price
₹180.00Sale Price
Related Products
bottom of page