কবিতীর্থ কালীঘাট - ধর্মপ্রাণ হিন্দুর আশা-আকাঙ্ক্ষা, বিশ্বাস সংস্কারের মূর্ত প্রতীক। বহু প্রাচীন এই স্থান মুকুন্দরামের চন্ডীমঙ্গলেও উল্লেখ আছে। যত দিন গেছে খ্যাতি চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়েছে। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের মন্দিরে পূজা দিতে আসতেন এমনকি কোম্পানি আমলেও সরকারের পক্ষ থেকে কালীর কাছে নিয়মিত পূজা পাঠানো হতো। কালের বিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাস আর কিংবদন্তি এখানে মিলেমিশে একাকার। তাই ঠিক কবে তৈরি হয়েছিল এই মন্দির, রাজা বসন্ত রায়ের সময় এই মন্দিরের অস্তিত্ব ছিল কিনা, নাকি কালীঘাট থেকে কলকাতা নামের উৎপত্তি কিনা এসব নিয়ে তর্কের আজও শেষ হয়নি। আর হয়নি বলেই কালিঘাট শুধু যে ভক্তকে আকর্ষণ করেছে তা নয়, করেছে তথ্যানুসন্ধানীকেও। এমনই এক তথ্যানুসন্ধানী সূর্য্যকুমার চট্টোপাধ্যায়। দিন পাল্টেছে, কালীঘাটও পাল্টেছে, পাল্টেছে কালীঘাটের মানুষজনও। কিন্তু এই তীর্থস্থানকে নিয়ে মানুষের কৌতুহলের আজও শেষ নেই। এই গ্রন্থটিতে কালীঘাটের কালী মূর্তি আবিষ্কার, সাবর্ণ চৌধুরী লক্ষ্মীকান্ত মজুমদার, কলকাতার সাবর্ণ জমিদারেরা কি বিশ্বাসঘাতক, কলকাতার কালীপ্রসাদী হাঙ্গামা, প্রচলিত ইতিহাসের বিশ্লেষণ, কালীঘাটের কালি কিভাবে বৈষ্ণবী হলেন, হালদার উপাধি কেমন ভাবে পেল এবং রবীন্দ্রনাথের নরবলি, পৌরাণিক ও তান্ত্রিক ধর্ম, শক্তি পূজা, পিঠস্থানের উৎপত্তি, কালীঘাটের আদিম অবস্থা, কালীর দেবোত্তর সম্পত্তি, কালীকুন্ড ও হ্রদ, কালীমূর্তির অলংকার, বিগ্রহ শ্যাম রায়, স্বয়ম্ভু লিঙ্গ নকুলেশ্বর, শ্মশান ভূমি, অধিবাসী, রাস্তা, ডাক ও পুলিশ, বিদ্যাচর্চা, ধর্মসংস্কার, পীঠমালা, নানান কিছু এই গ্রন্থে আলোচিত হয়েছে। আশা করা যায় গ্রন্থটি দ্রুত পাঠক মহলে সমাদর লাভ করবে।
কালীক্ষেত্র দীপিকা
Kalikshetra Dipika
Kalikshetra Dipika - Suryakumar Chattopadhyay
সূর্য্যকুমার চট্টোপাধ্যায়

















