Mayabandhaki - Aditya Mukhopadhyay
বিয়ের ক’বছর যেতে না যেতেই বাচ্চা। একটি-দুটি। তারপরই তো সব শেষ। জীবনটাকে বয়ে বেড়ানোই তখন যথেষ্ট কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। সব প্রেম ভালোবাসা আনন্দ ওই চড়ুই পাখির মতো ফুড়ুৎ। বিশ্বাস ভক্তি সব ব্যানার বাতাস। আর হবে নাই বা কেন? এক গাছের ছাল কি অন্য গাছে লাগে? সে একসঙ্গে থাকা আর কী। একই মানুষ, একই মুখ, প্রায় একই আচরণ প্রতিদিন দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে পড়ে শরীর-মন। কেউ কেউ তখনই সংসার থেকে পালিয়ে বাঁচে। সাধু হয়ে গেরুয়া পরে পাড়ি দেয় দেশ ভ্রমণে, কেউ জ্বালা জুড়াতে আত্মহত্যা করে বসে। মহা মূল্যবান মানব জীবনটাকেই নষ্ট করে ফেলে। কেউ ছাড়াছাড়ি। কেউ অন্তরে মরে প্রতিদিন।
আসলে নারী তো সংসারের এক আশ্চর্য আকর্ষণ। টাকা-পয়সা, বাড়ি-গাড়ি, সবার উপরে নারীর স্থান। সুরা-নারী- সিংহাসনের অমোঘ আকর্ষণ না থাকলে কেই বা বাঁচতে চাইত এই সংসারে। সেই তো একদিন মরার জন্যই চিরদিন বেঁচে থাকা! মরণকে তো জয় করা যাবে না কোনোভাবেই। তাহলে? দু’দিন বইতো নয়। এই দু’দিনের খেলা ঘরে এমন চুম্বনে-চুম্বনে যদি কেউ কাউকে ভরিয়ে দিতে পারে, তাতে তোমাদের ঈর্ষা কেন বাপু? দুজনের এমন ঘন বন্ধনেই তো তিনি বিরাজ করেন। দুইয়ে মিলেই তো এক। ‘ভগ’ আর ‘বাণ’ মিলেই তো ভগবান। ভগ হল যোনি আর বাণ হল লিঙ্গ। প্রকৃতি আর পুরুষ।
মায়াবন্ধকী
Mayabandhaki