মহাবিশ্বর দিকে দিকে মহাশক্তি নানা রূপে প্রকাশিত। আর মন্দিরময় আমাদের এই বঙ্গভূমি। অনন্তকালপূর্বে চারিদিক যখন অন্ধকারে আচ্ছাদিত ছিল, তখনই এক দেবী তান্ডবে রত হয়ে রক্তমাখা অঙ্গে লম্বিত মুণ্ডমালা গলে টলমল পায়ে এগিয়ে চলেছেন, কারণ তিনি রণমত্তা। তিনি স্তব্ধ হলে জগৎও স্তব্ধ হবে। একসময় তাঁর গতিরুদ্ধ হলোই। এক শবদেহের উপর পা দিলেন দেবী। সেই দেহের শীতল স্পর্শে চমক ভাঙলো তাঁর। নীচে তাকিয়ে দেখলেন স্বামীর গাত্রে তিনি পা রেখেছেন। লজ্জায় জিভ কাটলেন দেবী। ইনিই হলেন দেবী 'কালী'। কাল অর্থাৎ সময়কে যিনি শাসন করেন তিঁনিই কালী। এই গ্রন্থে কালিকাপুরাণ মতে কালী, কলকাতায়, হাওড়ায়, হুগলী, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায়, উত্তর চব্বিশ পরগনায়, বর্ধমানে, বীরভূম, বাঁকুড়া, নদীয়া, মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদ, মালদহ, দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং, বিভিন্ন জায়গায় দেবী কালীর ক্ষেত্র,বাংলার ডাকাতকালী,, পূর্ববঙ্গের দেবীধাম সম্পকে বিশদে আলোচিত হয়েছে। আশা করা যায় গ্রন্থটি দ্রুত পাঠক মহলে গৃহীত হবে।
 
 
মুক্তির আসে শক্তির পাশে
লেখক : সমাজবন্ধু সত্যরঞ্জন দাস
প্রকাশনা : পূর্ণ-প্রতিমা 
ধারা : প্রবন্ধ
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ২০৮
বাধাই : হার্ডকভার