যিনি, প্রযুক্তি পিতার বীর্যজাত, অযোনিসম্ভূত, বাণিজ্য দেবতার যিনি একনিষ্ঠ উপাসক, শিল্পকলা যাঁর মোহ নির্মোক, যাঁর মায়া-অবয়ব-এর সামনে নতজানু হয় আবিশ্ব মনুষ্য-প্রজাতি, সিনেমা নামের সেই সপ্তম শিল্পের সামনে, সাষ্টাঙ্গে প্ৰণত হই।
সত্যি কি সিনেমা তৈরির জন্য কোনও প্রথাগত শিক্ষার প্রয়োজন? এমনকি মেইনস্ট্রিম সিনেমার কজন সফল নির্মাতা স্কুলে শিখে তবে ছবি তৈরির কাজে নেমেছেন? আজও আমি বিশ্বাস করি সিনেমা তৈরি করা স্কুলে (অনলাইন, অফলাইন, ভারচুয়াল, রিয়েল যাই হোক না কেন) শেখা যায় না। জীবনক্ষেত্রে শিখতে হয়। তবু কেন “সহভাগী চলচ্চিত্র” ? পারস্পরিক সহযোগিতায় (মিউচুয়াল এইড), মিথস্ক্রিয়ায়, কোনও এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়? কোনও সোশ্যাল এক্সপেরিমেন্ট? আর টেকনোলজি? ও হয়ে যায়। কঠিন কিছু না। আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। বেসিক শিখতে হয়, এবং বেসিক শেখা সবসময় বোরিং। কিন্তু প্রতিদিন বদলে যাওয়া টেকনোলজির যুগে পার্টিকুলার কোন টেকনোলজি শেখা এক ধরনের উন্মাদনা। একমাত্র বেসিকসই পারে এই ফিউচার শক থেকে বাঁচিয়ে রাখতে। আর সিনেমা যদি সমাজের দর্পণ হয়, তবে দর্পণের উল্টোদিকে থাকে রক্তমাংসের মানুষই তো। তাদেরই অংশ-ভাগী হয়ে প্রাণ পায় চলচ্ছবি।
সহভাগী সিনেমার সন্ধানে
লেখক : পার্থ প্রতিম মৈত্র
প্রকাশনা : কেতাব-e
ধারা : প্রবন্ধ
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ২১৪
বাধাই : হার্ডকভার
top of page
₹375.00 Regular Price
₹335.00Sale Price
Related Products
bottom of page

















