এই লেখাটি নিৎশে ১৮৭৩ সালে লিখেছিলেন, যখন তাঁর বয়স উনত্রিশ বছর। লেখাটি নিৎশের জীবৎকালে অপ্রকাশিত ছিল। লেখাটি এখন নিৎশে-পাঠকমহলে তাঁর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লেখাগুলোর একটি হিসেবে গণ্য হয়। ভাষা, জ্ঞান, বিজ্ঞান, স্বজ্ঞা ও মানবযাপনের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে ভাবনার বেশ কিছু মৌলিক প্রস্থানবিন্দু এই লেখাটি থেকে তৈরি হয়েছে।
এই লেখাটিতে নিৎশের ভাবনা কান্ট ও সোপেনহাওয়ার-এর ছায়া থেকে যাত্রা শুরু করেছে। কান্ট যেভাবে phenomenon (ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য রূপ) এবং noume-na (ইন্দ্রিয়-অতিক্রমী রূপ) সংজ্ঞাত করেছিলেন, ইন্দ্রিয়-অতিক্রমী রূপবলয়ের মধ্যে thing-in-itself (স্বয়ং-বস্তু)-এর অবস্থানহেতু তা অজ্ঞেয় জ্ঞান করেছিলেন, এবং সোপেনহাওয়ার যেভাবে এই ভিত্তিমূলক ভাবনার উপর দাঁড়িয়েই অজ্ঞেয়তার মধ্যে স্বজ্ঞা বা নান্দনিক অনুভবের
পথ ধরে অনুপ্রবেশের পথ খুঁজেছিলেন, সেই ভাবনার ছায়া বহন করেই এই লেখাটি শুরু হচ্ছে। এই সূত্র ধরে এগিয়ে ভাষা ও বিজ্ঞানের প্রশ্নে আলোচনায় ঢুকে লেখাটি তার স্বকীয়তায় পৌঁছেছে। ভাষাগত প্রতিরূপ দিয়ে বস্তুকে নিখুঁতভাবে ধরা যায়, বিজ্ঞানের তত্ত্ব দিয়ে বস্তুর নিয়ম আবিষ্কার ও প্রভাবিত করা যায়- আধুনিকতাবাদী চিন্তার এই নিশ্চয়তাগুলোকে এখানে ধ্বংস করা হয়েছে। আর কেবল কথা দিয়ে কথার প্যাঁচ কাটানো নয়, জীবনযাপনের শৈলীর নিরিখে সমস্তকিছুকে বিচার্য করে তোলা হয়েছে। লেখাটি পড়তে পড়তে গভীর নিশ্চয়তাবোধগুলোর ভেঙে পড়ার উপক্রম দেখে যেমন বিপন্নতার সিঁদুরে মেঘ ঘনায়, তেমনই আসন্ন কোনো কালবৈশাখীতে ভেসে মুক্ত হওয়ার আশাও দপদপিয়ে ওঠে।
এখানে লেখাটির বাংলা তর্জমা করা হয়েছে মূল জার্মান থেকে নয়, রোনাল্ড স্পেইরকৃত তার ইংরেজি অনুবাদ থেকে। উক্ত ইংরেজি অনুবাদটি ব্রিটেনের কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস দ্বারা 'কেমব্রিজ টেক্সটস ইন দি হিস্ট্রি অফ ফিলজফি' সিরিজে ১৯৯৯ সালে প্রকাশিত নিৎশের দি বার্থ অফ ট্রাজেডি অ্যান্ড আদার রাইটিংস বইতে পাওয়া যায়।
সত্য-মিথ্যা ও বিবেক প্রসঙ্গে
লেখক : ফ্রেডরিখ নিৎশে
অনুবাদ ও টীকা : বিপ্লব নায়ক
প্রকাশনা : তৃতীয় পরিসর
ধারা : প্রবন্ধ
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ১৪৪
বাধাই : হার্ডকভার
top of page
₹350.00 Regular Price
₹300.00Sale Price
Related Products
bottom of page