আঞ্চলিক ইতিহাসের সমৃদ্ধ অধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলা। গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতীর মুক্ত বেণী তীরে অবস্থিত প্রাচীন জনপদ ত্রিবেণী, সপ্তগ্রাম, বাঁশবেড়িয়া এই হুগলী জেলাতেই অবস্থিত। প্রাচীন তীর্থ হিসাবে ত্রিবেণীর খ্যাতি প্রাচীনকাল থেকেই। শুধু তাই নয়, মধ্যযুগীয় বাংলায় হিন্দু-মুসলমান সাংস্কৃতিক সম্প্রীতির অন্যতম দিশারী ছিলেন ত্রিবেণীর জাফর খাঁ গাজি। ত্রিবেণী পণ্ডিত সমাজের খ্যাতি ছিল জগৎজোড়া। হুগলীর রাজনৈতিক ইতিহাসের উত্থান পতনের অন্যতম কেন্দ্র ছিল সরস্বতী তীরে অবস্থিত প্রাচীন বন্দর নগরী সপ্তগ্রাম। তবে পরবর্তীকালে সরকার ও পরগণা হিসাবেও প্রসিদ্ধি অর্জন করে সপ্তগ্রাম। এমনকি নিত্যানন্দ মহাপ্রভু ও উদ্ধারণ দত্ত ঠাকুরের দৌলতে বৈষ্ণব তীর্থের মর্যাদাও লাভ করেছিল এই সপ্তগ্রাম। বাঁশবেড়িয়া ত্রিবেণী ও সপ্তগ্রামের তুলনায় কিছুটা পরবর্তীকালের জনপদ। পাটুলির জমিদার বংশ এখানে বসতি স্থাপন করে। তাই বাঁশবেড়িয়ার প্রসিদ্ধি মূলত এই জমিদার পরিবারের আনুকূল্যেই। এই পরিবারের রাজা নৃসিংহদেব রায় ও রাণী শঙ্করী এখানে প্রতিষ্ঠা করেন বিখ্যাত হংসেশ্বরী মন্দির, যা আজও অনুসন্ধিৎসু পর্যটক, গবেষক ও পুণ্যার্থীদের কাছে অন্যতম দ্রষ্টব্য। ইতিহাস বলে, এই তিনটি জনপদই হুগলীর সংস্কৃতিকে করে তুলেছিল সুসমৃদ্ধ। প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় বাংলার সেই সুসমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে এই গ্রন্থে।
জানা অকানার আলোকে ত্রিবেণী-সপ্তগ্রাম-বাঁশবেড়িয়া
লেখক : কৌশিক চন্দ
প্রকাশনা : পাপাঙ্গুলের ঘর
ধারা : প্রবন্ধ
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ১৬৮
বাঁধাই : হার্ডকভার
top of page
₹350.00 Regular Price
₹280.00Sale Price
Related Products
bottom of page